হাদীসের আলোকে
ইমাম মালিক রাহিমাহাল্লাহ পোশাক পরিচ্ছেদের ব্যাপারে বেশ সৌখিন ছিলেন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বলা যায়, তিনি ব্র্যান্ডের কাপড় পরতেন। বাইরে থেকে আসা পোশাক পরতেন। ইমপোর্টেড পোশাক। আদন, খোরাসান, মিসর থেকে তাঁর জন্য পোশাক আসতো।
বিশর ইবনুল হারেস তাঁর কাছে গিয়ে দেখেন, তিনি ৫০০ দিরহামের একটি চাদর পরে আছেন। তাঁকে দেখতে রাজার মতো লাগছিলো। তখনকার সময়ে ২০০ দিরহামের ওপর যাকাত ফরজ ছিলো। আর তার চাদরের মূল্যই ছিলো ৫০০ দিরহাম!
তাঁর ইন্তেকালের পর দেখা যায়, তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিলো ৫০০ জোড়া জুতো! আর পাগড়ি ছিলো ১০০ টি।
তাঁর ঘরের বিছানা, গালিচা ও পালঙ্কভর্তি যতো বালিশ ছিলো, সবগুলো বিক্রি করে পাওয়া যায় ৫০০ দিনার।
পোশাকের ব্যাপারে ইমাম মালিকের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণ কী?
এর ব্যাখ্যা তিনি নিজেই দেন এভাবে:
"একজন আলেমের ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক এই যে, সে সুন্দর পোশাক পছন্দ করবে, তা পরবে এবং তা দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করবে। লোকে যেনো সবসময় তাকে পোশাক আবৃত দেখে, এমনকি পাগড়িটাও যাতে মানানসই হয়।"
তিনি আরো বলন:
"আল্লাহ যাকে তাঁর নিয়ামত দিয়েছেন, তার জন্য সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো সেই নিয়ামতের প্রভাব প্রকাশিত হওয়া; বিশেষ করে আলেমগণ। তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেতে হবে পোশাকে। এটা ইলমের প্রতি সম্মানার্থে।"

0 Comments